Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মামলার আবেদন

বরাবর                                                তারিখ:

    চেয়ারম্যান

    ১০নং বিসকা ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত

    তারাকান্দা, ময়মনসিংহ

 

বিষয়- অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে।

 

বাদী

বিবাদী

স্বাক্ষী

মোছাঃ হালিমা বেগম (৩৫)

স্বামী- মোঃ মজিবুর রহমান

গ্রাম- ঘিটুয়ারী

ডাকঘর- কুটুরাগাও

উপজেলা- তারাকান্দা

জেলা- ময়মনসিংহ।

 

ঘটনার তারিখ:

২৪/১১/২০১৫ইং,

১১ই অগ্রহায়ণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলবার,সময়- দুপুর ১ ঘটিকা

১।রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার (৫৫)

পিতা- মৃত: উষন তালুকদার

২। মোমেনা বেগম (৪৫)

স্বামী- রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার

উভয়গ্রাম- ঘিটুয়ারী

ডাকঘর- কুটুরাগাও

তারাকান্দা, ময়মনসিংহ।

১। আব্দুর রশিদ মেম্বার(৭০)

পিতা- মৃত: শহর মন্ডল

২। বাচ্চু মিয়া (৫০)

পিতা- মৃত: আব্দুল হামিদ

৩। শাহেদ আলী (৫৫)

পিতা- মৃত: জাহের আলী

সর্বগ্রাম- ঘিটুয়ারী,

তারাকান্দা, ময়মনসিংহ।

 

জনাব

    সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি মোছা হালিমা বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ মজিবুর রহমান, গ্রাম- ঘিটুয়ারী, ডাকঘর- কুটুরাগাও, উপজেলা- তারাকান্দা, জেলা- ময়মনসিংহ। আপনার গ্রাম আদালতে হাজির হয়ে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, গত ২৪-১১-২০১৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার আমার প্রতিবেশি বিবাদী রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার ও মাহমুদা বেগম আমার মেজো ছেলে মামুনুর রশিদ (১৫) কুটুরাগাও ফাযিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রকে জোর পূর্বক দুপুর ১টার সময় তাদের নিজস্ব বাড়ির পিছনে উচু সুপারি গাছে সুপারি পাড়ার জন্য গাছে তোলেন। সুপারী গাছটি অনেক চিকন,উচু ও পুরাতন ছিল। আমার ছেলে সুপারি গাছে উঠতে রাজি ছিল না কিন্তু তাকে জোরাজুড়ি করে গাছে উঠানো হলে এক পর্যায়ে গাছটি ভেঙ্গে আমার ছেলে মাটিতে পড়ে গিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়। ঘটনার দিন আহত হবার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ৬দিন চিকিৎসার পর ডাক্তারগণ জানান যে, এখানে আর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। তারপর ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানোর ৩দিন পর এক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন হয় এবং অপারেশন করানো ৬দিন পর আমাকে রিলিজ করে দেন। তারপর ১৫দিন পরে আবার যেতে বলেছেন। আমার ছেলের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ও শোচনীয়।আমি গরিব মানুষ বিধায় আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আমার যা কিছু ছিল এবং ঋণ করে আজ পর্যন্ত প্রায় ১,১০,০০০/- (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা ব্যয় করেছি। আরো কত খরচ হবে তাও জানি না।আপনার আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য প্রার্থনা করছি।

ছেলের চিকিৎসা কার্যে ব্যস্ত থাকায় মামলা দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।

 

 

 

                                                     (হালিমা বেগম)